রোববারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও যুগান্তকারী’ বলেছেন টানা চারবার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজয়ী আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা। আজ সোমবার (৮ই জানুয়ারি) গণভবনে দেশী-বিদেশী সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের সাথে সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে হাসিনা বলেন, এই নির্বাচনে দেশ,গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার সুরক্ষিত হয়েছে।
নির্বাচন বয়কট করা বিএনপিকে গণতান্ত্রিক নয়, ‘সন্ত্রাসী দল’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, জনগণ তাদেরকে সমর্থন দেয়নি। শেখ হাসিনা বলেন, গণতন্ত্রে বিরোধীদল দরকার হলেও তা গঠনের দায়িত্ব তাঁর নয়।
সোমবার পৌষের বিকেলে গণভবনের সবুজ প্রাঙ্গণে দৃঢ়, কিন্তু হাস্যেজ্জল মেজাজে দেশী-বিদেশী সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের মুখোমুখি হন শেখ হাসিনা। আগের দিনই তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনার সবচে বড় প্রতিযোগিতা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থবার জিতেছে। কিছুদিনের মধ্যে সাংবাধানিক প্রক্রিয়ায় সরকার গঠন করবেন। একজন বিদেশী সাংবাদিক শেখ হাসিনাকে মনে করিয়ে দেন, একজন নারী হিসেবে টানা চতুর্থবার সরকার প্রধান হওয়ার ঘটনা বিশ্ব রেকর্ড হবে। তাঁর পিঠে হাসিনা বলেন, দেশের কাজ করার সময় নিজের লিঙ্গ পরিচয়ের কথা মনে থাকে না। তাঁর লক্ষ্য দেশে একজনও হতদরিদ্য মানুষ যেন না থাকে, সেজন্য কাজ করা। এখনই তাঁর নতুন সরকারের কাজ নিয়ে ভাবছেন শেখ হাসিনা।
রোববারের ভোট নিয়ে প্রশ্ন ছিলো না বললেই চলে, কিন্তু বিএনপির বর্জন করা নির্বাচনে বিজয়ের পর গণতন্ত্রে বিরোধীদলের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে একজোড়া প্রশ্নের মুখোমুখি হন শেখ হাসিনা।
জবাবে তিনি বলেন, বিরোধী দল গঠন করা আমার কাজ নয়। বিএনপি গণতান্ত্রিক নয় সন্ত্রাসী দল, গণতন্ত্রে জনগণের অংশগ্রহণ মুখ্য, জনগণ তাদের সমর্থন দেয়নি।
২০১৪ ও ১৮ সালের সংসদ নির্বাচনসমালোচিত হবার পর এবারের সংসদ নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে ছিলো আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। নির্বাচনের আগে তারা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করে। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচন ও আমেরিকার ভূমিকার প্রসঙ্গ ওঠে।
শেখ হাসিনা বলেন, নিবাচন ফ্রি ফেয়ার হয়েছে। নির্বাচন যুগান্তকারী, মানুষের এতো আগ্রহ আগে দেখিনি, দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, মানুষের অধিকার সুরক্ষিত হয়েছে নির্বাচনে। আমরা আমেরিকাকে বন্ধু রাষ্ট্র মনে করি।
শেখ হাসিনা জানান, তাঁর দল সাংবিধানিক প্রক্রিয়া মেনে পরবর্তী সরকার গঠন করবে। তবে তাঁর নতুন মন্ত্রিপরিষদ গঠন ও শপথের দিন ঠিক হয়নি এখনও।